জহিরুল হক বাবু।।
নগরীর যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনকে সর্বোচ্চ প্রধান্য দিয়ে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের উপ-নির্বাচনের হাতি প্রতীকের প্রার্থী নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম।
এ সময় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ‘স্মার্ট ও আধুনিক কুমিল্লা মেরামতে’ নিজের ১৭টি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
বুধবার (৬ মার্চ) বিকাল ৫টায় নগরীর মুন্সেফবাড়ি এলাকার বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন তানিম।
সংবাদ সম্মেলনে নিজের ইশতেহারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি তানিম বলেন, “আমি নির্বাচিত হলে যেখানে সেখানে অপরিকল্পিতভাবে হস্তক্ষেপ না করে ৯০ দিনের মধ্যে দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান নগর পরিকল্পনাবিদ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ১০০ বছরের উপযোগী করে কুমিল্লা সিটির জন্য একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করব।
“নগরীর যানজট নিরসনে স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী তিন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করব। সড়ক প্রশস্তকরণ, সড়কের পরিমাণ বৃদ্ধি, সড়কের উপর চাপ কমানোসহ নানাবিধ বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে যানজট সমস্যা নিরসনে সচেষ্ট হব।
“জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, জলাধার তৈরি করা, পানি নির্গমণের প্রতিবন্ধকতা দূর করাসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করব। নগরীর সুষ্ঠু পয়ঃনিষ্কাশন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে। রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে সব ময়লা অপসারণের ব্যবস্থা করব।
“বিনামূল্যে/স্বল্পমূল্যে নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিধিবৃদ্ধি করা হবে। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হেলথ ক্লিনিক স্থাপন করব।
নির্বাচিত হলে আগামী ৫ বছরে নগরবাসীর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, নগরীকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ একটি আইটি পার্ক করা হবে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কুমিল্লার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য কর্মসূচিভিত্তিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
“জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সারা বছর মাঠসমূহে খেলাধূলা চালু রাখা হবে। জনসংখ্যার বাড়তি চাপ সামাল দেওয়ার জন্য নগরীর সম্প্রসারণ এবং বিকেন্দ্রীকরণ অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।”
তানিম বলেন, সদর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অংশ হলেও অবহেলিত। পিছিয়ে পড়া এই জনপদের উন্নয়নের মাধ্যমে শহরের সাথে সমতা আনা হবে।
৯ মার্চ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। এ উপনির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দুইজন নেতা এবং বিএনপির সাবেক দুইজন নেতা অর্থাৎ চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী লড়ছেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page